পিত্তথলি বা গলব্লাডার হলো একটি ছোট, নাশপাতি আকৃতির অঙ্গ, যা যকৃতের তৈরি পিত্তরস সঞ্চয় ও ঘনীভূত করে। এই পিত্তরস খাবারের চর্বি ভাঙতে কাজ করে। পিত্তথলির সংক্রমণ, পাথর বা অন্যান্য সমস্যার ক্ষেত্রে এটি অস্ত্রোপচার করে অপসারণ করতে হতে পারে।পিত্তথলি ফেলে দেওয়ার পর ভারী খাবার খেলে অনেকেরই হজমের সমস্যা হয়। এই সমস্যা প্রতিকারে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি।
**কেন হজমের সমস্যা হয়?**
যদিও একজন সুস্থ মানুষ পিত্তথলি ছাড়াই বাঁচতে পারেন, তবুও পিত্ত নিঃসরণ ধরে রাখতে ও নিয়ন্ত্রণে পিত্তথলি আর না থাকায়, তা অবাধে ছোট অন্ত্রে প্রবাহিত হয়। চর্বিযুক্ত খাবারের হজম জটিল হয়ে পড়ে, ফলে ব্যথা, পেট ফাঁপা, ফোলা ভাব ও ডায়রিয়া হতে পারে।
**যা খাওয়া যাবে না:**
– চর্বিযুক্ত লাল মাংস (যেমন গরু ও খাশির গোশত)
– ফুল ফ্যাট দুগ্ধজাত পণ্য (যেমন দুধ, আইসক্রিম, মাখন)
– উচ্চ চিনিযুক্ত খাবার (যেমন সোডা, কোল্ড ড্রিংকস, ক্যান্ডি, সিরাপ, বেকড পণ্য)
**যা খাওয়া যাবে:**
চর্বিযুক্ত খাবার সীমিত করে পুষ্টিকর, সহজপাচ্য খাবার খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যেমন:
**ফলমুল:**
– আপেল, নাশপাতি, কলা, বেরি
**সবজি:**
– ব্রকলি, পালংশাক, গাজর, মিষ্টি আলু
**শস্য:**
– বাদামি চাল, বার্লি, ওটস, পুরো গমের পাস্তা
**প্রোটিন:**
– চামড়াবিহীন মুরগি, মাছ, সামুদ্রিক খাবার, উদ্ভিজ্জ প্রোটিন (যেমন মটরশুঁটি, মসুর ডাল), ডিমের সাদা অংশ, কম চর্বিযুক্ত দুধ
এই পরামর্শগুলো মেনে চললে পিত্তথলি অপসারণের পর হজমের সমস্যা কমানো সম্ভব।
**লেখক:**
ডা. সাইফ হোসেন খান, মেডিসিন কনসালট্যান্ট, পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ধানমন্ডি.