সাবেক চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান, এবং সাবেক নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা, বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। এদের পরিবারের সদস্যদের—স্ত্রী, সন্তানসহ—ব্যাংক হিসাবও স্থগিত করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার, বিএফআইইউ বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আলাদা আলাদা চিঠি পাঠিয়ে এ নির্দেশনা দিয়েছে। স্থগিত করা হিসাবগুলোতে আগামী ৩০ দিন কোনো লেনদেন করা যাবে না এবং প্রয়োজন হলে এই সময়সীমা বাড়ানো হবে। এই নির্দেশনা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালার সংশ্লিষ্ট ধারা অনুযায়ী কার্যকর হবে। চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, এসব ব্যক্তির নাম এবং জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যও।
বিএফআইইউয়ের নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, এসব হিসাবের সাথে সম্পর্কিত তথ্য বা দলিল—যেমন হিসাব খোলার ফরম, কেওয়াইসি, লেনদেন বিবরণী ইত্যাদি—চিঠি দেওয়ার তারিখ থেকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে বিএফআইইউতে পাঠানোর জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন শেখ হাসিনা এবং দেশ ছাড়েন। এতে আওয়ামী লীগের ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। এর পর ২৩ আগস্ট রাতে রাজধানীর বনানী থেকে আ স ম ফিরোজকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পটুয়াখালী-২ আসনের সাবেক আওয়ামী লীগ এমপি আ স ম ফিরোজ দশম জাতীয় সংসদে চিফ হুইপ ছিলেন। সরকার পরিবর্তনের পর ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিত করা ব্যক্তিরা গাঢাকা দিয়েছেন।