দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০২:৪৮

চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যা: আর জি কর হাসপাতালের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ গ্রেপ্তার

কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকদের অবস্থান ধর্মঘট, কলকাতার ফিয়ার্স লেনে, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৪।

আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে কলকাতার আর জি কর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সদ্য সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার সন্ধ্যায় ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা (সিবিআই) তাঁর গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় সন্দীপ ঘোষকে প্রথমবারের মতো গত ১৫ আগস্ট তলব করে সিবিআই। এরপর তাঁকে ১৬ দিন জেরা করা হয়, তবে গত শনিবার ও রবিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি। সিবিআইয়ের রাজ্য দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে দৈনিক ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে হয়েছে। আজ তাঁকে আবার সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয় এবং সন্ধ্যায় সেখান থেকে বের করে সিবিআই কর্মকর্তারা তাঁকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যান। এখানেই সন্দীপ ঘোষের গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেওয়া হয়।

এদিকে, নারী চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যার ঘটনার যথাযথ তদন্ত না করার অভিযোগে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে জুনিয়র চিকিৎসকরা অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন। পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা এই আন্দোলনে যোগ দিয়েছেন। তাদের দাবি, পুলিশ তদন্তের নামে তথ্য ও নথিপত্র লোপাট করেছে এবং ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করছে। এ কারণে তাঁরা কমিশনারের পদত্যাগ দাবি করছেন।

আজ দুপুর দুইটায় জুনিয়র চিকিৎসকরা কলেজ স্কয়ার থেকে কলকাতার পুলিশ হেডকোয়ার্টার লালবাজারের দিকে একটি বিশাল মিছিল নিয়ে যাত্রা শুরু করেন, তবে পুলিশ লালবাজারের কাছাকাছি ফিয়ার্স লেনের মুখে লোহার ব্যারিকেড দিয়ে সড়ক বন্ধ করে দেয়। পুলিশের এই ব্যারিকেডের কারণে মিছিল এগিয়ে নিতে ব্যর্থ হয়ে আন্দোলনকারীরা সড়কে বসে পড়েন এবং পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত সড়ক ছাড়বেন না বলে ঘোষণা করেন।

একই সময়ে, কলকাতার নারীরা রাতভর কর্মসূচি পালন করেন, যার মধ্যে অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়, সুদীপ্তা চক্রবর্তী, উষসী চক্রবর্তী, সোহিনী সরকার, দেবলীনা দত্ত প্রমুখ অংশ নেন।

বিজেপি আজ রাজ্যজুড়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের (ডিএম) দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে। বিজেপি নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর সময় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। বর্ধমান, মালদহ, আলিপুর, কোচবিহার, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বহরমপুর ও আসানসোলে বিজেপি ডিএম দপ্তর ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে। কোচবিহারে বিজেপির প্রতিবাদ মিছিল ঠেকাতে পুলিশ জলকামান ব্যবহার করে, এবং কয়েকটি স্থানে পুলিশ লাঠিপেটা ও কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট