দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২৩:৩৪

সংসার ভাঙার অভিযোগ উঠেছে।

‘মহানগর’ খ্যাত নির্মাতা আশফাক নিপুণ মোস্তফা সরয়ার ফারুকীকে আওয়ামী দোসর বলার অভিযোগকে হাস্যকর হিসেবে মন্তব্য করেছেন। সম্প্রতি এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি দীর্ঘ পোস্ট দেন তিনি। নিপুণ লিখেছেন, “বিষয়টিকে দুঃখজনক না বলে হাস্যকর বলছি, কারণ খোদ কট্টর আওয়ামী শিল্পীসমাজ এবং ক্যাডার বাহিনীও তাকে কখনো নিজেদের দলে দেখতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেনি, এখনো করে না। বিশ্বাস না হলে আপনার আশপাশের আওয়ামীজনকে জিজ্ঞাসা করুন, দেখবেন ছ্যাঁত করে উঠবে।”

 

তিনি আরও বলেন, “ফারুকীর পুরনো কিছু স্ট্যাটাস বা ছবি যদি তাকে আওয়ামী দোসর প্রমাণের জন্য যথেষ্ট হয়, তাহলে গত ১৫ বছরে বিশেষ করে জুলাই আন্দোলনে, তার ফেসবুক পোস্টে ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে নিরন্তর সমালোচনাগুলোও আমলে নেওয়া উচিত। এসব সমালোচনা নিয়ে আওয়ামী শিল্পীসমাজ থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চপর্যায় পর্যন্ত চূড়ান্ত বিরক্ত ছিলেন। এমনকি আওয়ামী সরকারের আমলে তার সিনেমা দুইবার আটকে দেওয়া হয়েছিল। এসব কি উপেক্ষা করা যায়?”

 

নিপুণ তার পোস্টে বলেন, “কয়েকটি পোস্ট বা ছবি যদি কোনো দলের দোসর হওয়ার মানদণ্ড হয়, তাহলে গত ১৬ বছরে যেসব শিল্পী নিজেদের ‘আপা’-র ঘনিষ্ঠ প্রমাণে প্লট, পদ, বা ব্যবসায়িক সুবিধা নেওয়ার জন্য তৈলমর্দন করতেন, তাদের প্রতি সমবেদনা জানাই। তারা দিনের পর দিন আমাদের মতো মানুষকে অপমান করেই ক্ষান্ত হননি।”

 

ফারুকীর সংস্কৃতি উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ নিয়ে চলা সমালোচনাকে ইঙ্গিত করে নিপুণ লিখেছেন, “ফারুকী সংস্কৃতির মানুষ, দেশ-বিদেশে পরিচিত, এবং জুলাই আন্দোলনের আগ থেকেই সরকারের ফ্যাসিবাদী নীতির সমালোচক। তার এই নিয়োগ হয়তো সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে আন্দোলনের স্পিরিট ও ডকুমেন্টেশন সংরক্ষণের মতো কাজ করার জন্য। তবে যদি তিনি এ দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হন, আমিও তার সমালোচনা করবো।”

 

নিপুণ শেষ করেন এই বলে, “ছাত্র-জনতার এই আন্দোলনে যারা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের মধ্যে অনেকে জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে আওয়ামী লীগ বা ছাত্রলীগের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরাতে সবাই একত্রিত হয়েছিল। এখন কেন এই বিভেদ তৈরির চেষ্টা করা হচ্ছে?”

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ