কক্সবাজারের টেকনাফ মডেল থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রনজিত কুমার বড়ুয়ার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধানে ৮৪ লাখ ৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য উঠে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তার এসব সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মুন্সি আবদুল আজিজ দুদকের আবেদন মঞ্জুর করে এই আদেশ দেন।
বর্তমানে রনজিত বড়ুয়া চট্টগ্রামে শিল্প পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপারের দায়িত্বে রয়েছেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ধোপছড়ি ইউনিয়নের শীলঘাটা গ্রামে। দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন অনুসন্ধান চালিয়ে ৮৪ লাখ ৮ হাজার টাকার অবৈধ সম্পদের তথ্য সংগ্রহ করেন। এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে সাতকানিয়ার শীলঘাটা গ্রামে ২৪.৫০ শতক জমিতে ৫২ লাখ ২০ হাজার টাকায় নির্মিত একটি দোতলা বাড়ি এবং চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার আলমশাহ কাঠঘর এলাকায় ৩১ লাখ ৮৮ হাজার টাকায় কেনা ১ হাজার ৬৭৫ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, যা ১৪ তলা একটি ভবনের ৮ তলায় অবস্থিত।
দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, এসব সম্পদ অবৈধ উৎস থেকে অর্জিত হয়েছে। আদালত রনজিত বড়ুয়ার এসব অবৈধ সম্পদ জব্দের জন্য চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে রিসিভার হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।
দুদক কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ জানান, অনুসন্ধানে অবৈধ সম্পদের তথ্য পাওয়ার পর রনজিত বড়ুয়া এসব সম্পদ বিক্রি করার চেষ্টা করছিলেন। তাই, সেগুলো বিক্রি হতে না পারে, সেজন্য আদালতে এসব সম্পদ জব্দের আবেদন করা হয় এবং আদালত সেই আবেদন মঞ্জুর করেন। তিনি আরও জানান, রনজিত বড়ুয়ার অন্য কোথাও অবৈধ সম্পদ রয়েছে কি না, তা যাচাই করা হচ্ছে।
রনজিত বড়ুয়া তার ক্যারিয়ারে টেকনাফ মডেল থানা, কক্সবাজার সদর মডেল থানা এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেছেন। টেকনাফ থানায় কর্মরত অবস্থায় তিনি জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে পুরস্কৃত হন।