নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার পথে থাকা ম্যাট গেটজের বিরুদ্ধে প্রতিনিধি পরিষদের নৈতিকতাবিষয়ক কমিটিতে (এথিকস কমিটি) সাক্ষ্য দিয়েছেন দুটি নারী। তাঁদের দাবি, ‘যৌন সুবিধা’ দেওয়ার বিনিময়ে গেটজ তাঁদের অর্থ পরিশোধ করেছেন।
সিএনএন-এর “এরিন বারনেট আউটফ্রন্ট” অনুষ্ঠানে সোমবার দেওয়া সাক্ষাৎকারে, ওই নারীদের আইনজীবী জোয়েল লেপার্ড এ তথ্য প্রকাশ করেন।
গেটজ বারবার তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন কেলেঙ্কারির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তবে লেপার্ড দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলদের ধারণা, গেটজ সম্ভবত জানতেন না যে, ঘটনাটি ঘটানোর সময় ওই নারী ছিল অপ্রাপ্তবয়স্ক।
ট্রাম্প যিনি গেটজকে অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে মনোনীত করেছেন, গেটজের পদত্যাগের পর কংগ্রেস থেকে শুরু হওয়া তদন্ত কার্যত বন্ধ হয়ে গেছে। তবে, নৈতিকতাবিষয়ক কমিটি তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে যাচ্ছে, এবং আগামী বুধবার তারা বৈঠকে বসবে।
তদন্তে জানা গেছে যে, ওই নারী নিজেই দাবি করেছেন, ১৭ বছর বয়সে গেটজের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। দুই সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। এক বিবৃতিতে, লেপার্ড জানিয়েছেন যে, ২০১৭ সালে গেটজের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা ওই নারী এবং তার বন্ধু তখন হাইস্কুলের শিক্ষার্থী ছিলেন।
লেপার্ড আরও বলেন, ২০১৭ সালের জুলাইয়ে, গেটজের একটি পার্টিতে আমন্ত্রণ পাওয়ার পর, ওই নারীর বান্ধবীকে পার্টির পুলের পাশ থেকে যৌনকর্মে লিপ্ত অবস্থায় দেখতে পান। সেসময় ওই নারীর বয়স ছিল ১৭ বছর।
লেপার্ড আরও দাবি করেছেন, তাঁর মক্কেলদের কাছে গেটজ বিভিন্ন সময় ভেনমো এবং পেপ্যালের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধ করতেন। ২০১৭ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে একাধিক অনুষ্ঠানে ওই অর্থ প্রদান করা হয়েছিল।
গেটজ অবশ্য অপ্রাপ্তবয়স্কের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক বা যৌন সুবিধা প্রদানের জন্য অর্থ গ্রহণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর মুখপাত্র সিএনএন-কে বলেন, “মেরিক গারল্যান্ডের বিচার বিভাগ গেটজকে খালাস দিয়েছে এবং তাঁকে অভিযুক্ত করেনি।”
এর আগে, ২০২১ সালে, গেটজের বিরুদ্ধে একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছিল, যা পরে কোন অভিযোগ গঠন ছাড়াই বন্ধ হয়ে যায়।