দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০১:০৪

‘রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে ব্যবসাকে কাজে লাগানো উচিত’ : পাকিস্তানের হাইকমিশনার

সিজিএসের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা করছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার। আজ ১৮ নভেম্বর, রাজধানীর একটি হোটেলেছবি: প্রথম আলো দক্ষিণ এশিয়ায় বিশেষ করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানে

দক্ষিণ এশিয়ায়, বিশেষ করে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে, অর্থনৈতিক কূটনীতির একটি নতুন যুগের সূচনা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। তাঁর মতে, দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য সত্ত্বেও বাণিজ্য সম্পর্ক জোরদারের সুযোগকে কাজে লাগানো উচিত।

আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত তিন দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলনে বক্তৃতা দেওয়ার সময় তিনি এই মন্তব্য করেন। সম্মেলনটি ছিল সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত “বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন” (বঙ্গোপসাগরীয় সংলাপ), যেখানে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি বক্তব্য রাখেন।

হাইকমিশনার তার বক্তৃতায় “আধুনিক যুগে অর্থনৈতিক কূটনীতি” বিষয়টি তুলে ধরেন, যেখানে তিনি বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর আন্তঃরাষ্ট্রীয় বাণিজ্যের সম্ভাবনা ও বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের বিষয়েও আলোকপাত করেন।

তিনি বলেন, দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক এবং সম্মিলিত অর্থনীতির আকারের তুলনায় অনেক বেশি সম্ভাবনা রয়েছে। সঠিক রাজনৈতিক সদিচ্ছা, বাণিজ্য সহজীকরণ এবং অর্থনৈতিক কূটনীতির প্রতি নতুন মনোযোগ দিয়ে বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে পারে। বিশেষ করে বস্ত্র, কৃষি, জ্বালানি এবং প্রযুক্তির মতো খাতে নতুন সহযোগিতার পথ খোলা সম্ভব।

পাকিস্তানের হাইকমিশনার আরো বলেন, “বাণিজ্য কেবল আমাদের অর্থনৈতিক স্থিতি শক্তিশালী করতে সাহায্য করবে না, বরং এ অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বৃহত্তর রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বন্ধনেও ভূমিকা রাখবে। আমরা অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার সুযোগের জন্য প্রস্তুত, এবং আমি বিশ্বাস করি যে, আমাদের বাণিজ্য সম্পর্ক আগামী বছরগুলোতে দুই দেশের সম্পর্কের একটি মূল স্তম্ভ হয়ে উঠবে।”

তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, গত ১১ নভেম্বর মাত্র ১০ দিনের মধ্যে করাচি থেকে একটি জাহাজ সরাসরি পণ্য নিয়ে চট্টগ্রামে পৌঁছেছে, যা দুই দেশের ব্যবসা সম্প্রসারণের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ।

হাইকমিশনার আরও বলেন, “বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আঞ্চলিক একীকরণের ওপর গুরুত্ব দিয়ে আমরা দুই দেশের জনগণের বৃহত্তর সমৃদ্ধি এবং স্থিতিশীলতা অর্জন করতে পারি। তাই আমাদের রাজনৈতিক মতপার্থক্যের ঊর্ধ্বে উঠে, নিবিড় বাণিজ্য সম্পর্কের স্বার্থে এসব সুযোগ কাজে লাগানো উচিত।”

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট