দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৪, ২০২৪ ২৩:৫৩

বিএনপি বিশ্বাস করে, এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব: মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন

বরিশাল আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য হাফিজ উদ্দিন আহমদ। সোমবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

**বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, বিএনপি মনে করে, অন্তর্বর্তী সরকার চাইলে আগামী এপ্রিলের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব। নির্বাচনসংক্রান্ত যেসব সংস্কার প্রয়োজন, তা দ্রুত অন্তর্বর্তী সরকার বাস্তবায়ন করবে, এ বিষয়ে তিনি আশাবাদী।**

সোমবার দুপুরে বরিশালে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়ের করা মামলার হাজিরা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ এই মন্তব্য করেন। একইদিন মামলার অভিযোগ গঠন হয়, তবে আদালত তাঁকে মামলাটি থেকে অব্যাহতি দেন।

হাফিজ উদ্দিন আরো বলেন, “বিএনপি ও অন্যান্য অনেক রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যে যুক্তিযুক্ত সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। নির্বাচিত সরকার ছাড়া কোনো সরকারই শক্তিশালী হতে পারে না।” তিনি আরও বলেন, “ড. ইউনূসকে বিএনপি সমর্থন দিয়েছে এবং ভবিষ্যতেও দিবে, তবে আমরা আশা করি, তিনি কোনো ধরনের অপপ্রচারে প্রভাবিত হবেন না।”

আওয়ামী লীগ সরকারকে সমালোচনা করে তিনি বলেন, “আমরা এখন রাহুমুক্ত, স্বৈরাচারী ফ্যাসিস্ট সরকার দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তাদের দুর্নীতি, অপকর্ম, মানি লন্ডারিংসহ সব ধরনের অত্যাচার-অনাচার থেকে দেশের মানুষ রক্ষা পেয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, যা এখন জনজীবনে এক বিরাট সমস্যা, তার জন্যও ফ্যাসিস্ট সরকারই দায়ী। এসব পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য, জনগণের শান্তি ও শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজন একটি নির্বাচিত সরকার।”

২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর, ভোলার লালমোহন থানায় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদসহ সাতজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা করা হয়। মামলার বাদী ছিলেন লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও বদরপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল হক।

মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ মামলাটি থেকে অব্যাহতি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী মো. নাজমুল হাসান বলেন, “২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-৩ আসন থেকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর, লালমোহন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডে অবস্থানকালে তার মুঠোফোনে কথোপকথনের একটি রেকর্ড ফাঁস হয়, যা থেকে নির্বাচন বানচাল করার জন্য ডিজিটাল মাধ্যমে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট, লালমোহন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বশির আলম, দুজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।”

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ