ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে দূষণের প্রকোপ বাড়ায় দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা ছাড়া অন্যান্য শ্রেণির ক্লাস এখন থেকে অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। কয়েক সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায়, আজ সোমবার থেকে দিল্লি এনসিআরে গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান (জিআরএপি) স্টেজ-৪ কার্যকর করা হয়েছে। বর্তমানে দিল্লির বায়ু গুণগত মান সূচক (একিউআই) ‘অত্যন্ত গুরুতর’ ক্যাটাগরিতে পৌঁছেছে।
আজ সোমবার সকালে দিল্লির একিউআই স্কোর দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে ৪৮১ হয়ে যায়, এরপর জিআরএপি উপকমিটির জরুরি বৈঠকে স্টেজ-৪ জারির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। স্টেজ-৪ এর অধীনে, দিল্লিতে প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহনকারী ট্রাক ছাড়া অন্য সব ধরনের ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং নির্মাণ ও উচ্ছেদ কাজও স্থগিত রাখা হয়েছে।
দূষণের কথা বিবেচনায় নিয়ে দিল্লি সরকার দশম ও দ্বাদশ শ্রেণি ছাড়া অন্যান্য শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন ক্লাস চালুর নির্দেশ দিয়েছে। স্কুলগুলোর প্রধানদেরও বলা হয়েছে, এসব শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস করবে। তবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য শারীরিক ক্লাস পূর্বের মতোই চলবে।
রাজু লাল নামে একজন অভিভাবক বলেন, “আমার দুই সন্তান স্কুলে যায়, একজন নবম শ্রেণিতে এবং অন্যজন দশম শ্রেণিতে। আমি দশম শ্রেণির সন্তানের জন্য স্কুলে পাঠিয়েছি, কিন্তু নবম শ্রেণির সন্তানটি অনলাইন ক্লাস করছে। দূষণ শিশুদের ওপর বিশেষভাবে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে।”
এছাড়া, দূষণের কারণে গুরুগ্রাম শহরে ঘন কুয়াশার আস্তরণ তৈরি হয়েছে।
হরিয়ানা রাজ্যের নুহ প্রশাসনও সরকারি নির্দেশনায় ১৮ থেকে ২২ নভেম্বর পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে। নুহ জেলার সব সরকারি, আধা সরকারি এবং বেসরকারি স্কুলে এই ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং প্রশাসন সব ব্লক শিক্ষা কর্মকর্তাকে এই নির্দেশনা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশ দিয়েছে।