গোল্ডেন গ্লোব, ব্রিটিশ একাডেমি ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, প্রাইমটাইম এমি অ্যাওয়ার্ড, অস্কার—এমন অসংখ্য পুরস্কারের অধিকারী হলিউড অভিনেত্রী নিকোল কিডম্যান এ বছর পেয়েছেন এএফআই লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ডও। এই সম্মাননায় তিনি তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, “আমার পথচলা শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার একটি ছোট শহর থেকে, যেখানে আমি এবং আমার বোনকে মা-বাবা আমাদের ইচ্ছামতো বেড়ে উঠতে উৎসাহিত করতেন। তারা বলতেন, ‘যা ইচ্ছে শোনো, যা ইচ্ছে পড়ো।’ আমি তাই মঞ্চনাটকে অংশগ্রহণ শুরু করি, আর একসময় পারিশ্রমিক হিসেবে পেয়েছি বই—বিশেষ করে চেখভ ও ইবসেনের বই। আজও আমি মনে করি, বই পাওয়ার অনুভূতি খুবই বিশেষ। তবে এখন চেক ভাঙিয়ে বই কেনার চিন্তা করি! (হাসি)”
তিনি আরও বলেন, “বাড়ির স্বাধীনতার কারণে স্কুলের ক্লাস ফাঁকি দিয়ে সিনেমা দেখার সুযোগ পেয়েছিলাম। সিনেমা হল ছিল আমার ক্লাসরুম। ক্যামেরার সামনে প্রথম দাঁড়াই ১৪ বছর বয়সে। জেন ক্যাম্পিয়ন নামে এক নারী পরিচালক আমার সঙ্গে দেখা করেছিলেন এবং আমাকে তার স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যদিও চিত্রনাট্যটি আমার পছন্দ হয়নি।”
নিকোল কিডম্যান তার জীবনবৃত্তান্তে বলছেন, “আমার পথচলা শুরু হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ায়, কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে এসে আমি সত্যিকার অর্থে অভিনয়শিল্পীদের একটি বৃহত্তর পরিবারে যোগ দিয়েছিলাম। সেখানে অডিশনে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে আমাকে মেঝেতে কিংবা সোফায় রাত কাটাতে হয়েছে, কারণ তখন আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু সেই সময় আমার পাশে ছিল বন্ধুরা, যাঁদের সহযোগিতা আমি আজীবন মনে রাখব।”
তিনি তার বক্তৃতায় আরও বলেন, “আমি খুবই সৌভাগ্যবান, কারণ আমি অসাধারণ কিছু পরিচালক, প্রযোজক এবং অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি। পর্দায় এমন নারী চরিত্রে অভিনয় করেছি, যাঁরা বাস্তবে সচরাচর দেখা যায় না। এটি আমার জন্য এক বিরাট সম্মান।”
এছাড়াও তিনি জানান, “আমি সত্যিই ভাগ্যবান, কারণ অনেক ভালোবাসা পেয়েছি। পরিচালক অ্যান্ডি ওয়ারহল একবার বলেছিলেন, ‘শিল্পের চর্চা করো, ভালো বা খারাপ, অন্যদের সিদ্ধান্ত নিতে দাও এবং তুমি আরেকটি কাজ করে যাও।’ আমি তার পথ অনুসরণ করতে চাই।”