হামাসের হাতে আটক ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের পর ইসরাইলজুড়ে যুদ্ধবিরতির দাবিতে নজিরবিহীন বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। রবিবার রাতে তেলআবিবসহ বিভিন্ন শহরে লাখ লাখ ইসরাইলি রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন।
রবিবার গাজার রাফাহ শহরের একটি সুড়ঙ্গ থেকে ইসরাইলি সেনাবাহিনী ছয় জিম্মির মরদেহ উদ্ধার করে, যার মধ্যে একজন মার্কিন নাগরিকও ছিলেন।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন যে, জিম্মিদের মুক্তির জন্য চুক্তি করতে অবহেলা করছে বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সরকার। যুদ্ধবিরতির আলোচনা বারবার ব্যর্থ হওয়ায় নেতানিয়াহুর পদত্যাগের দাবিও উঠেছে।
এদিকে, আজ সোমবার দ্রুত যুদ্ধবিরতির দাবিতে ইসরাইলের বৃহত্তম শ্রমিক সংগঠন হিস্তাদ্রুত ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
বিবিসি জানাচ্ছে, প্রথমদিকে শান্তিপূর্ণ হলেও বিক্ষোভকারীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে সড়ক অবরোধ করেন এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। লাঠিচার্জ, জলকামান ব্যবহার এবং সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এই বিক্ষোভে প্রায় ৫ লাখ ইসরাইলি অংশ নিয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিক্ষোভকারীরা ইসরাইলের পতাকা, বিভিন্ন ফেস্টুন এবং নেতানিয়াহুর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রদর্শন করেন। অনেকেই নেতানিয়াহুর মুখোশ পরে এবং রক্তে রঞ্জিত হাত নিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেন।
আল জাজিরা জানাচ্ছে, প্রায় ১১ মাস আগে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর রবিবার রাতের বিক্ষোভ ছিল সবচেয়ে বড়। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে হামাসের হাতে আটক স্বজনদের অনেকেই ছিলেন, যারা যুদ্ধবিরতি ও জিম্মিদের মুক্তি দাবি করেছেন।
গত ৭ অক্টোবর হামাস আকস্মিক হামলা চালিয়ে ১২০০ ইসরাইলিকে হত্যা করে এবং প্রায় ২৫০ ইসরাইলি ও বিদেশি নাগরিককে গাজায় আটক করে। কিছু জিম্মি ফিরে এলেও এখনও অনেকেই হামাসের কাছে আটক রয়েছেন। তাদের মুক্তি এবং যুদ্ধবিরতির জন্য ইসরাইল ও তার মিত্র যুক্তরাষ্ট্রের ওপর চাপ অব্যাহত রয়েছে।