কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হকসহ তিনজনকে দ্বিতীয় দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। তাঁর সঙ্গে রিমান্ডে থাকা জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার এবং বুড়িচংয়ের আওয়ামী লীগ নেতা জহিরুল ইসলামকেও কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
কুমিল্লা আদালতের পুলিশের পরিদর্শক মো. মুজিবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নতুন রিমান্ড আবেদন না হওয়ায় শুক্রবার দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক ফারহানা সুলতানা তিনজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আগের দিন, বুধবার, শুনানির পর আদালত এ কে এম শহীদুল হক, এ কে এম জি কিবরিয়া মজুমদার এবং জহিরুল ইসলামের দুই দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে সোমবার তাঁদের দুই দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছিল।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মশিউর আলম বলেন, আসামিরা চার দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন, যেগুলো যাচাই করা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে এসব তথ্য এখন প্রকাশ করা যাবে না।
পুলিশ ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের জগমোহনপুর এলাকায় একটি বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে আটজনকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। ওই দিন চৌদ্দগ্রাম থানার উপপরিদর্শক নুরুজ্জামান হাওলাদার বাদী হয়ে জামায়াতের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহেরকে প্রধান আসামি এবং বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে হুকুমদাতা হিসেবে আসামি করে প্রথম মামলা করেন।
এছাড়া, ১১ সেপ্টেম্বর মো. আবুল খায়ের নামের এক ব্যক্তি কুমিল্লার আদালতে সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, এ কে এম শহীদুল হক, র্যাবের তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, কুমিল্লার তৎকালীন পুলিশ সুপার টুটুল চক্রবর্তীসহ ১৩০ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাতনামা ৫০ থেকে ৬০ জনকে আসামি করে একটি নতুন মামলা দায়ের করেন। মামলার এজাহারে তিনি দাবি করেন যে, পেট্রলবোমা হামলার শিকার বাসটি তাঁর তত্ত্বাবধানে চলছিল।