“খালি পেটে পানি আর ভরা পেটে ফল”—এ ধারণা এখনও অনেকের কাছে প্রচলিত। তবে সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে, ফলের পুষ্টিগুণ সর্বোচ্চ উপকারে আনতে হলে সঠিক সময়ে ফল খাওয়া জরুরি। সঠিক সময়ে ফল খেলে ভিটামিন, প্রোটিন এবং খনিজ উপাদানগুলো শরীরের জন্য সর্বোচ্চ কার্যকর হয়। তাহলে কখন ফল খাওয়া স্বাস্থ্যকর, আর কখন এড়িয়ে চলা উচিত?
### কখন ফল খাওয়া শরীরের জন্য উপকারী?
**১. সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর:**
সকাল হলো ফল খাওয়ার আদর্শ সময়। তবে খালি পেটে ফল খেলে কারও কারও হজমে সমস্যা হতে পারে। তাই ঘুম থেকে উঠে প্রথমে পানি পান করুন, তারপর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে ফল খান। এতে ফলের গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন এবং এনজাইমগুলো দ্রুত শরীরে কাজ করতে পারে।
**২. দুটো খাবারের মাঝে:**
সকালের নাশতা এবং দুপুরের খাবারের মাঝামাঝি সময়ে ফল খাওয়া দারুণ উপকারী। এটি খাবার হজমে সহায়তা করে এবং শরীরের শক্তি ধরে রাখে। এই সময়ে ফলের সঙ্গে বাদাম বা দানাশস্য যোগ করলে এটি একটি পূর্ণাঙ্গ স্বাস্থ্যকর নাশতা হিসেবে কাজ করে।
**৩. শরীরচর্চার আগে ও পরে:**
শরীরচর্চার জন্য শক্তি দরকার, কিন্তু ভারী খাবার এড়িয়ে যেতে হয়। এ ক্ষেত্রে ফল একটি চমৎকার বিকল্প। শরীরচর্চার আগে ফল খেলে তা তাত্ক্ষণিক শক্তি জোগায়। আর পরে খেলে শরীর দ্রুত পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।
—
### কখন ফল খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত?
**১. রাতে ঘুমানোর আগে:**
শোয়ার আগে ফল খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে এবং ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই রাতের খাবারের অন্তত দুই ঘণ্টা আগে ফল খাওয়া ভালো।
**২. প্রধান খাবারের সঙ্গে:**
খাবারের সঙ্গে ফল খেলে হজমে সমস্যা হতে পারে এবং শরীর ফলের পুষ্টিগুণ পুরোপুরি শোষণ করতে পারে না। প্রধান খাবারের এক ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া উচিত।
**৩. চা বা কফির সঙ্গে:**
চা বা কফির সঙ্গে ফল খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে বিষক্রিয়া হতে পারে এবং শরীরের হজম প্রক্রিয়ায় ব্যাঘাত ঘটতে পারে। চা-কফি পানের এক ঘণ্টা আগে বা পরে ফল খাওয়া নিরাপদ।
সঠিক সময়ে ফল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে শরীর ভালো থাকবে এবং আপনি পুষ্টিগুণের সর্বোচ্চ সুফল পেতে পারবেন।