২০২৫ সালের অমর একুশে বইমেলা এবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে হবে না। বাংলা একাডেমি সেখানে মেলা আয়োজনের জন্য বরাদ্দ পায়নি, এবং গত ৬ নভেম্বর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় একটি চিঠির মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়ে দিয়েছে। এ কারণে, বইমেলার স্থান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।চিঠিতে বলা হয়েছে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা আয়োজনের পরিবর্তে এবার বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বইমেলা আয়োজন করতে হবে। তবে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক মোহাম্মদ আজম জানিয়েছেন, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা আয়োজনের জন্য আবারও চেষ্টা করবেন। তিনি বলেন, “গণপূর্ত ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলা করতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, কিন্তু আমরা আশা করি, আপিল করার মাধ্যমে এটি পরিবর্তন করা যাবে।”
অথচ, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার আয়োজনের শুরু ১৯৭২ সালে, যখন মুক্তধারা প্রকাশনী বাংলা একাডেমির গেইটে চট বিছিয়ে বই বিক্রি শুরু করে। পরবর্তীতে ১৯৭৪ সালে একাডেমির ছোট স্টলে বই বিক্রি শুরু হয়। ১৯৭৮ সালে বাংলা একাডেমির তৎকালীন মহাপরিচালক আশরাফ সিদ্দিকী বইমেলার আয়োজনকে সরকারি উদ্যোগে পরিণত করেন। এরপর ১৯৮৪ সাল থেকে বাংলা একাডেমি নিয়মিতভাবে বইমেলা আয়োজন করে আসছে, এবং ২০১৪ সাল থেকে সৃজনশীল প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থান বরাদ্দ করা হয়।
তবে, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থান নিয়ে গত বইমেলা থেকেই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। ২০২৫ সালের বইমেলার জন্য গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, তারা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্থান বরাদ্দ করবে না, এবং বইমেলা পূর্বাচলে নিয়ে যাওয়ার কথা শোনা যায়।
এদিকে, বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, “সরকার যদি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলা আয়োজনের অনুমতি না দেয়, তবে সরকারকে বুঝিয়ে বলতে হবে যে, বইমেলা সেখানেই হওয়া উচিত। এতে বইমেলার গুরুত্ব বজায় থাকবে।”