বাইডেন প্রশাসনের শেষ দুই মাসে দুইটি প্রধান ক্ষেত্রে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হতে পারে, যা আগামী প্রশাসনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভিত্তি গড়ে দিতে পারে। এসব পদক্ষেপ শুধুমাত্র বর্তমান সরকারের নীতি নির্ধারণে সহায়ক হবে না, বরং এটি ভবিষ্যতে নির্বাচনী মঞ্চেও তাদের প্রভাব বৃদ্ধি করতে পারে।
১. অভিবাসন সংস্কার ও মানবাধিকার
বাইডেন প্রশাসন সম্ভবত তার দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতেই অভিবাসন নীতিতে সংস্কারের জন্য পদক্ষেপ নেবে। প্রথম মেয়াদে অভিবাসন বিষয়টি অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবে শেষ দুই মাসে প্রশাসন আরও দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে পারে। বিশেষ করে, ডোকা (DACA) ও টাম্পা (TPS) সুবিধাভোগীদের জন্য নতুন সুবিধা বা স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে বাইডেন সরকার জোর দিতে পারে। এছাড়া, আন্তর্জাতিকভাবে অভিবাসী মানবাধিকার সংরক্ষণ এবং যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরে অভিবাসীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হতে পারে।
২. জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশবান্ধব নীতি
বাইডেন প্রশাসন তাঁর প্রথম মেয়াদে জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করলেও, এখনও বেশ কিছু কাজ বাকি। শেষ দুই মাসে তিনি তার পরিবেশগত নীতি এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরও শক্তিশালী পদক্ষেপ নিতে পারেন। বৈশ্বিক জলবায়ু চুক্তি এবং স্থানীয় পরিবেশগত নীতির মধ্যে সঙ্গতি আনতে, তিনি বিভিন্ন দেশের সঙ্গে অংশীদারিত্ব বাড়াতে এবং যুক্তরাষ্ট্রে পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি ও নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার আরও উৎসাহিত করতে পারেন।
এই দুইটি ক্ষেত্রে বাইডেন প্রশাসনের পদক্ষেপ শুধু দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিতেই নয়, বরং আন্তর্জাতিক মঞ্চেও তার শক্তিশালী অবস্থান তৈরিতে সহায়ক হতে পারে।