সময়ের সঙ্গে সম্পর্কের প্রকৃতি এবং মানুষের চাহিদা বদলাতে থাকে। কিছু সময় পরিবারই থাকে সবচেয়ে কাছের, এরপর আসে বন্ধু। তবে, জীবনে বিশেষ কেউ এলে, বন্ধুই হয়ে ওঠে সবচেয়ে কাছের মানুষ। কিন্তু যখন বন্ধু জীবনে নতুন সঙ্গী নিয়ে আসে, তখন সব ক্ষেত্রে বন্ধুত্ব হারিয়ে যায় না। সঙ্গীসহ বন্ধুদের আড্ডাও চলে। তবে, যদি আপনার বন্ধুর জীবনসঙ্গী আপনাকে ভালো না লাগে, তখন কিছুটা দুশ্চিন্তা হওয়া স্বাভাবিক। এমন পরিস্থিতিতে কী করবেন?
**কারণটা বোঝার চেষ্টা করুন**
বন্ধুর জীবনসঙ্গীকে অপছন্দ করার নানা কারণ থাকতে পারে। একটি সাধারণ কারণ হতে পারে, আপনি হয়তো বঞ্চিত বোধ করছেন। অর্থাৎ, বন্ধুর জীবনে নতুন সঙ্গী আসার কারণে তিনি আগের মতো আপনাকে সময় দিচ্ছেন না। যদিও তাঁর জীবনসঙ্গী একজন ভালো মানুষ, তবুও এই কারণেই আপনি তাঁকে অপছন্দ করতে পারেন। আবার, যদি আপনার বন্ধু জীবনের সঙ্গী সম্পর্কে কোনো খারাপ আচরণ করে, যা আপনার মন সঠিকভাবে গ্রহণ করতে না পারে, তবে তা সম্পর্কের মধ্যে সম্মানহানির কারণ হতে পারে। কখনো কখনো, আপনি যা অনুভব করছেন তা বন্ধুর চোখে ধরা পড়ছে না, কিন্তু আপনি হয়তো তার ভবিষ্যতের জন্য উদ্বিগ্ন।
**কী করবেন**
কেন আপনি বন্ধুর জীবনসঙ্গীকে অপছন্দ করছেন, তার কারণ খুঁজে বের করুন। যদি তা তেমন গুরুতর না হয়, তবে নিজেকে বুঝিয়ে নিন। তবে যদি কোনো গুরুতর কারণ থাকে, তাহলে পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নিন। আপনার বন্ধুর সাথে আলাদা করে কথা বলুন, কিন্তু এমনভাবে বলুন যেন বোঝানো যায় আপনি তার ভালোর জন্যই এটি বলছেন। তবে, আপনি যদি মনে করেন যে বন্ধুর সঙ্গী ক্ষতিকারক, তবে তার সঙ্গে সজাগ থাকুন, কিন্তু বন্ধুকে নিজের অবস্থান চাপিয়ে দেবেন না।
**এড়িয়ে চলুন এই ভুলগুলো**
কখনো সরাসরি বন্ধুর জীবনসঙ্গীকে সমালোচনা করবেন না, বিশেষ করে তার উপস্থিতিতে। আপনার যে উদ্বেগ বা অস্বস্তি রয়েছে, তা বন্ধুর সঙ্গে একান্তে আলোচনা করুন। তবে, কখনো বন্ধুকে এমন কোনো অবস্থানে ফেলবেন না যেখানে তাকে সঙ্গী বা বন্ধুত্বের মধ্যে থেকে একটি নির্বাচন করতে হয়। এই ধরনের পরিস্থিতি বিরক্তিকর এবং অস্বস্তিকর হতে পারে, তাই আপনার বন্ধু বা তার সঙ্গীকে সম্মান দেওয়াই শ্রেয়।
সবশেষে, যতই আপনাকে অসুবিধা হোক, বন্ধুর জীবনসঙ্গী সম্পর্কে অসন্তোষ প্রকাশ করার সময় মনে রাখবেন, আপনার বন্ধুর সিদ্ধান্তে সম্মান রাখা জরুরি।