সেনাবাহিনীর হাতে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তরসহ পাঁচ দফা দাবি ও ইউজিসির আবাসিক হলে সিট না পাওয়া শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তিবিষয়ক পাইলট প্রজেক্টে ঢাবির পাশাপাশি জবিকেও অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আজ সোমবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন। দুপুর ১টায় শিক্ষা ভবনের সামনের চৌরাস্তায় তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন।প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী তামজিদ হোসেন বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২১টি হল থাকা সত্ত্বেও তাদের পাইলট প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে, কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পুরোপুরি বঞ্চিত। আমাদের কেন অন্তর্ভুক্ত করা হলো না? যতক্ষণ না আমাদের দাবি পূর্ণ হয়, ততক্ষণ আমরা এখানে অবস্থান এবং ঘেরাও কর্মসূচি চালিয়ে যাবো।”
প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগের শিক্ষার্থী নওশীন নাওয়ার জয়া বলেন, “বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে হল নির্মাণ করা হচ্ছে, কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়েছে। আমাদের অনেক শিক্ষার্থী সারাদিন টিউশনির কাজ করে। আমাদের দাবি, সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ দিতে হবে। ইউজিসির হিট প্রকল্পটি বৈষম্যমূলক।”
এ সময় শিক্ষার্থীরা “জবিয়ান আসছে, রাজপথ কাঁপছে”, “এক দুই তিন চার, ক্যাম্পাস আমার অধিকার”, “ঘেরাও ঘেরাও, ঘেরাও করো, মন্ত্রণালয় ঘেরাও করো”, “বৈষম্য মানি না মানব না”, “দিতে হবে, দিয়ে দাও, দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীকে দাও”, “সব সালারা বাটপার, সেনাবাহিনী হবে ঠিকাদার” এবং “যদি থাকে হায়া লাজ, সেনাবাহিনীকে দাও কাজ”—এমন নানা স্লোগান দেন।
শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি হলো:
১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ অফিসারদের হাতে দায়িত্ব অর্পণ করতে হবে।
২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখাসহ ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তর হয়েছে।
৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে এবং পুরাতন ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সকল চুক্তি বাতিল করতে হবে।
৪. সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণাকৃত পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।