ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা যে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছেন, তা ইতিহাসে নজিরবিহীন। তাই জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্ররা যে আকাঙ্ক্ষা ও দাবি থেকে জীবন দিয়েছে, তা তখনই পূর্ণতা পাবে, যখন শেখ হাসিনা ও তাঁর দোসরদের দেশে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে। বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে এক সমাবেশে এসব কথা বলেছেন। ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা মহানগর ছাত্রশিবির এই সমাবেশের আয়োজন করে।
ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি বলেন, ‘আমরা বিগত দিনগুলোতে আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলোর একের পর এক ষড়যন্ত্র দেখে দেখে আজ নভেম্বরের ১০ তারিখে উপনীত হয়েছি। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ দেশের ছাত্র-জনতার ওপর অস্ত্র প্রয়োগের মাধ্যমে যেভাবে তাদের হত্যা করেছে, ইতিহাসে এমন কোনো নজির পাওয়া যাবে না।…দেশের ছাত্র-জনতার ওপর রাষ্ট্রীয় সব শক্তির সহায়তা নিয়ে তারা গণহত্যা করেছে। আজকের ১০ তারিখের এই সমাবেশগুলো এটাই প্রমাণ করে যে জাতি সব সময় আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে এক ও ঐক্যবদ্ধ। কাজেই যে চিন্তার জন্য দেশ থেকে পালিয়ে আত্মরক্ষা করতে হয়েছে, সেই চিন্তার পুনরাবৃত্তি করে নতুন করে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবেন না।’
শিবিরের সভাপতি আরও বলেন, ‘আমরা চাই জুলাই অভ্যুত্থানে যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তদন্ত করে তাদের বিচারের আওতায় আনা হোক। তাদের বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে হবে। এটাই ছাত্র-জনতার দাবি। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্ররা যেভাবে জীবন দিয়েছে, ছাত্রদের সেই আকাঙ্ক্ষা ও দাবি তখনই পূর্ণতা লাভ করবে, যখন হাসিনা ও তাঁর দোসরদের দেশে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হবে।’
সমাবেশে ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি দেলোয়ার হোসেন সাঈদী বলেন, ‘যে স্বৈরশাসক ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে, তাদের জায়গা এ দেশের বুকে হবে না।’
সমাবেশে অন্যদের মধ্যে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক নুরুল ইসলাম বক্তব্য দেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি সমাবেশে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরাও অংশ নেন। সমাবেশ শেষে শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে পল্টনে যান তাঁরা।