শিরোনাম পড়ে ভাবছেন, ‘মাঙ্কি মাইন্ড’ আবার কী? মানুষের মন কেন হবে বানরের মতো?চোখ বন্ধ করে কল্পনা করুন বানর কীভাবে এক গাছ থেকে আরেক গাছে লাফিয়ে বেড়ায়, দোল খায়। দেখতে মজার হলেও, আপনার মনও যদি ঠিক এমন চঞ্চল হয়, তবে তা সমস্যারই বটে!কারণ, এর মানে হচ্ছে আপনি কিছুতেই মনোযোগ ধরে রাখতে পারেন না, মন সবসময় ছুটে বেড়ায়। কোনো কাজেই স্থির হতে পারেন না, কারণ মাঙ্কি মাইন্ডরা ক্রমাগত অস্থিরতায় থাকে। একবার এক জিনিস চায়, আবার অন্যটি। এমন আচরণের মানুষ আমাদের আশেপাশে কম নয়। এবার জেনে নেওয়া যাক, মাঙ্কি মাইন্ডের ৫টি বৈশিষ্ট্য:
### ১. চিন্তাভাবনা ছড়ানো-ছিটানো
আপনি হয়তো ভাবছেন অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়ার সময় চলে এলো, পরক্ষণেই খিদে পেলো মনে হলো ফ্রিজ খুলুন; এর মধ্যেই মনে পড়ল যে নতুন সিনেমা মুক্তি পেয়েছে, তখনই মুডে এসে উদাস হয়ে গেলেন। এমন হয়? তাহলে আপনি মাঙ্কি মাইন্ডের অধিকারী! এই সমস্যা কমাতে মেডিটেশন বা ধ্যান করতে পারেন। কোনো কিছুর দিকে নিরবচ্ছিন্নভাবে কয়েক সেকেন্ড তাকিয়ে থাকুন।
### ২. একটার পর একটা কাজ করে যাওয়া
আপনি কি সারাদিন একের পর এক কাজ করতে থাকেন, কিন্তু একটুও বিশ্রাম নেন না? সবসময় কিছু না কিছু করতে চান, যেন নতুন প্রজেক্টে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে? এমন হলে আপনি হয়তো নিজেকে বিশ্রাম দিতে ভুলে যাচ্ছেন। প্রতি ৫০ মিনিট কাজের পর ১০ মিনিট বিরতি নিন এবং এক কাজ শেষে নতুন কিছু শুরু করার আগে নিজেকে একটু সময় দিন।
### ৩. মনোযোগ ধরে রাখতে না পারা
পড়তে বসেছেন, হঠাৎ ফোন চেক করতে গিয়ে সময় হারিয়ে ফেললেন, বা জানালা দিয়ে তাকাতে গিয়ে স্মৃতিতে হারালেন? কোনো কাজ সময়মতো শেষ না করতে পারা মাঙ্কি মাইন্ডের বড় বৈশিষ্ট্য। প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে ধীরে ধীরে শ্বাস নিন, এতে মনোযোগ বাড়াতে সহায়তা হবে।
### ৪. গড়িমসি করা
মাঙ্কি মাইন্ডদের এক কাজে বসার আগে আরেকটা কাজ করতে ইচ্ছে হয়। যেমন চা বানাতে গিয়ে মনে হলো ফোনকল করা দরকার, এরপর ড্রেস চেক করতে গিয়ে দিন শেষ। কাজের ফাঁকে নানান অনাকাঙ্ক্ষিত কাজ করা মাঙ্কি মাইন্ডের বৈশিষ্ট্য। দিনের কঠিন কাজটি শুরুতেই করার চেষ্টা করুন।
### ৫. ঘুমের রুটিনের অভাব
‘লাস্ট বাট নট দ্য লিস্ট’, মাঙ্কি মাইন্ডদের রাতে সহজে ঘুম আসে না। প্রতিদিন ঘুমের সময়ের অনিয়ম থাকে। রাতে নানা চিন্তায় বা বিনোদনে মগ্ন থেকে ঘুমানোর সময় পিছিয়ে যায়। প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময়ে ঘুমাতে যান এবং সকালে নির্দিষ্ট সময়ে উঠুন।