দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৮:২৭

সরকার স্কুল ও কলেজের ফি নির্ধারণ করেছে।

সারাদেশের সব এমপিওভুক্ত এবং নন-এমপিও বেসরকারি স্কুল ও কলেজের বেতন বা টিউশন ফি ছাড়া অন্যান্য সব ফি নির্ধারণ করেছে সরকার। এসব ফি চার ক্যাটাগরিতে ভাগ করা হয়েছে: মাধ্যমিক (এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান), মাধ্যমিক (নন-এমপিও), কলেজ (এমপিওভুক্ত প্রতিষ্ঠান) এবং কলেজ (নন-এমপিও)। এছাড়া, টিউশন ফি নির্ধারণের জন্য মহানগর ও জেলা সদরে আলাদা কমিটি গঠন করতে হবে।গত রবিবার রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইয়েদ এ জেড মোরশেদ আলী স্বাক্ষরিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের টিউশন ফি নীতিমালা-২৪ সংক্রান্ত পরিপত্র থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

 

নীতিমালায় অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা, মুদ্রণ, টিফিন, ম্যাগাজিন, ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক উৎসব, বিভিন্ন জাতীয় দিবস উদযাপন, ক্লাব গঠন, লাইব্রেরি, কল্যাণ/দারিদ্র্য তহবিল, আইসিটি, বাগান পরিচর্যা, ল্যাবরেটরি, স্কাউট, কমনরুম, পরিচয়পত্র, নবীনবরণ ও বিদায় সংবর্ধনা, চিকিৎসা সেবা, উন্নয়ন, বিদ্যুৎ, শিক্ষা সফর ইত্যাদির জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কত টাকা আদায় করতে পারবে, তা নির্দিষ্ট করা হয়েছে। এই ফি সর্বনিম্ন ১০ থেকে সর্বাধিক ২০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

 

নীতিমালায় টিউশন ফি নির্ধারণের জন্য মহানগর ও জেলা কমিটি গঠনের নির্দেশনা রয়েছে। মহানগর কমিটির সভাপতি হিসেবে থাকবেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (শিক্ষা ও আইসিটি/সার্বিক), এবং সদস্য সচিব হিসেবে থাকবেন আঞ্চলিক উপপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। অন্য সদস্যদের মধ্যে জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, এমপিওভুক্ত কলেজের একজন অধ্যক্ষ, নন-এমপিও কলেজের একজন অধ্যক্ষ, এমপিওভুক্ত স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক, নন-এমপিও স্কুলের একজন প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

 

জেলা সদর পৌর এলাকার ও উপজেলার কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন জেলা প্রশাসক এবং সদস্য সচিব হবেন জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা। সদস্য হিসেবে উপজেলা পর্যায়ের এমপিওভুক্ত কলেজ ও স্কুলের একজন করে অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক এবং উপজেলা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা থাকবেন।

 

সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অক্টোবর মাসের মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রতিনিধি নির্বাচন করে কমিটির সভাপতিকে অবহিত করবেন।

 

এছাড়া, নীতিমালায় মাসিক বেতন/টিউশন ফি এবং উল্লেখিত খাতে আদায়কৃত অর্থ একটি নির্দিষ্ট ব্যাংক হিসাবে রাখার কথা বলা হয়েছে। যদি কোন একক খাতে বার্ষিক আদায় ১০ লাখ টাকার বেশি হয়, তবে তার জন্য আলাদা ব্যাংক হিসাব খুলতে হবে। আদায়কৃত অর্থ অবশ্যই খাতভিত্তিক ব্যয় করতে হবে এবং এক খাতের অর্থ অন্য খাতে ব্যয় করা যাবে না। সব আয় ও ব্যয় ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে সম্পন্ন করতে হবে।

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট