দ্যা নিউ ভিশন

নভেম্বর ২৫, ২০২৪ ০৮:০৭

ছত্রিশে পা দিয়েও বিরাট কোহলির ফিটনেসের রহস্য কী?

বিরাট কোহলি আজ ৩৬ বছর বয়সে পা দিলেন, কিন্তু তাঁর ফিটনেস দেখে বয়সের কোনো প্রভাব বোঝার উপায় নেই। শুধু ভারত নয়, পুরো ক্রিকেট ইতিহাসে অন্যতম সেরা এই ক্রিকেটার মাঠে এবং মাঠের বাইরেও সর্বদা চমৎকারভাবে ফিট থাকেন। তিনি ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন, এবং বর্তমানে তাঁর পুরো মনোযোগ একদিনের ক্রিকেট ও টেস্টের দিকে। গুজব আছে, আগামী মৌসুমে তিনি রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে পারেন।

 

তবে ব্যাট হাতে কোহলির ফর্ম খুব একটা ভালো যাচ্ছে না; প্রায় এক বছর হয়ে গেছে তাঁর কোনো সেঞ্চুরি নেই। যখন সবাই ভাবছে, কোহলির কেরিয়ার কি শেষের দিকে, তখন তিনি আবারও নেটে কঠোর পরিশ্রম শুরু করেছেন। ৩৬ বছর বয়সে যখন অনেক অ্যাথলেট বিদায়ের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন, কোহলি কোথা থেকে যেন নতুন উদ্যম পাচ্ছেন। তাহলে তাঁর ফিটনেসের এই রহস্য কী?

 

অনেকেই ফিট থাকতে জিমে ভর্তি হন, যা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু কেবল জিমে গেলে আর খাওয়াদাওয়ায় অনিয়ম করে ফিট থাকা সম্ভব নয়। কোহলি ২০২৩ সালের এপ্রিলে স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, “জিমে গিয়ে নিয়ম মেনে শরীর বানানো সম্ভব, কিন্তু খাবার নির্বাচনটা সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। খাবারের স্বাদ এবং পছন্দ একেকজনের একেক রকম হয়। শরীরকে ফিট রাখতে হলে শুধু পছন্দের ওপর নির্ভর করা নয়, বরং শরীরের জন্য কোন খাবার ভালো আর কোন খাবার খারাপ, সেটাও জানতে হবে।”

 

ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই কোহলি তাঁর পছন্দ-অপছন্দ সম্পর্কে সচেতন। তিনি একই ব্র্যান্ডের পানি পান করেন এবং নিজের প্রিয় খাবারগুলো খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি সম্পূর্ণ নিরামিষভোজী এবং তাঁর শরীরও এর সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছে। কোহলি বলেন, “শরীরের জন্য কোন খাবার উপকারী, সেটা আগে থেকেই বুঝে ফেলা জরুরি। একবার বুঝে গেলে শরীর সহজেই সেটার সঙ্গে মানিয়ে নেয়। আমি আগামী ছয় মাস একই ডায়েট অনুসরণ করতে পারব; কারণ, আমার শরীর এই খাবারের সঙ্গে মানিয়ে গেছে।”

 

কোহলি জানিয়েছেন, “আমার খাদ্যতালিকার ৯০ শতাংশ খাবারই ভাপা বা সেদ্ধ। এতে কোনো প্রকার মসলা ব্যবহার করা হয় না; লবণ, মরিচ ও লেবু দিয়েই রান্না করা হয়। স্বাদের ব্যাপারে আমি তেমন কিছু বাছাবাছি করি না, সালাদ খুব পছন্দ।” তবে মাঝে মাঝে নিয়ম ভাঙেন তিনি; ছোলা বাটোরা তাঁর প্রিয়। সাক্ষাৎকারে কোহলি বলেন, “আমি ঝোলজাতীয় খাবার খাই না। তবে ডাল, রাজমা আর কালো মটর পছন্দ করি। তবে ছোলা বাটোরা আমার সবচেয়ে প্রিয়, কিন্তু সেটিও আমি নিয়ম মেনে খাই।”

Related News

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।

সর্বশেষ

ঝলমলে আইপিএল নিলামের অন্য রূপ: কালো তালিকা, রাতারাতি কোটিপতি আর ক্ষমতা প্রদর্শন

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ললিত মোদি। ভারতীয় ক্রিকেট