দেশে নানা ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। এর মধ্যে কিছু ক্যানসার বিশেষভাবে শিশু ও কিশোরদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। সচেতনতার মাধ্যমে এসব ক্যানসার থেকে নিরাপদ থাকা সম্ভব, এবং দ্রুত রোগ নির্ণয় করে সঠিক চিকিৎসা পেলে ক্যানসার আক্রান্ত ব্যক্তি সুস্থ জীবনযাপন করতে পারেন। আসুন, এমন ক্যানসার সম্পর্কে জানি।
### শিশুদের ক্যানসার
দেশে ক্যানসার আক্রান্তদের মধ্যে ৫ শতাংশই শিশু (জন্ম থেকে ১৪ বছর বয়স পর্যন্ত)। শিশুদের মধ্যে সাধারণত লিউকেমিয়া, লিম্ফোমা, ব্রেন টিউমার, রেটিনোব্ল্যাস্টোমা, কিডনি টিউমার, এবং বোন টিউমার দেখা যায়। শিশুদের ক্যানসারের প্রধান কারণ হলো জিনগত ত্রুটি। তবে, সময়মতো সঠিক চিকিৎসা পেলে প্রায় ৮০ শতাংশ শিশু ক্যানসার থেকে সুস্থ হয়ে ওঠে।
### কিশোর ও তরুণদের ক্যানসার
দেশের ক্যানসার রোগীদের মধ্যে ২০ শতাংশই ১৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সী। বর্তমানে এই বয়সীদের ক্যানসারে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। এ বয়সীরা সাধারণত সারকোমা, বোন টিউমার, লিম্ফোমা, টেস্টিস, ওভারি (জার্ম সেল টিউমার), লিউকেমিয়া, এবং ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়। এছাড়া স্তন, কোলন ও পাকস্থলীর ক্যানসারেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কিশোর ও তরুণ আক্রান্ত হচ্ছেন।
### বিলম্বিত রোগ নির্ণয়
অনেক ক্ষেত্রেই কিশোর ও তরুণদের ক্যানসার তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে ধরা পড়ে। কারণ, উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও এই বয়সে ক্যানসারকে প্রথমে গুরুত্ব দিয়ে দেখা হয় না। ক্যানসারকে সাধারণত বয়স্কদের রোগ মনে করা হয়, এবং কিশোররা সাধারণত নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করায় না, যা দেরিতে রোগ নির্ণয়ের কারণ হতে পারে।
**অধ্যাপক ডা. পারভীন শাহিদা আখতার,** সাবেক বিভাগীয় প্রধান, মেডিকেল অনকোলজি, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল