ক্লাব ফুট বা মুগুর পা আর অভিশাপ নয়। জন্মগত এই সমস্যার আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে এখন সম্পূর্ণ নিরাময় সম্ভব। আগে ভুল ধারণা ও অপ্রতুল চিকিৎসার কারণে অনেক শিশুই এই সমস্যায় ভুগেছে। কিন্তু বর্তমানে উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।ক্লাব ফুট সাধারণত পায়ের গঠনজনিত সমস্যা, যেখানে পা বা পা দু’টি ভেতরের দিকে বাঁকানো থাকে। প্রতি এক হাজার শিশুর মধ্যে প্রায় একজন এই সমস্যায় আক্রান্ত হয়, এবং ছেলেদের মধ্যে এটি তুলনামূলক বেশি দেখা যায়। যদিও এর প্রকৃত কারণ এখনও পরিষ্কার নয়, তবে চিকিৎসায় সফলতা পাওয়া যাচ্ছে।
ক্লাব ফুট চিকিৎসার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় ও কার্যকর পদ্ধতি হলো ‘পনসেটি টেকনিক’। জন্মের পর যত দ্রুত সম্ভব এই পদ্ধতি প্রয়োগ করা হলে, শিশুর স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার সম্ভাবনা বাড়ে। সাধারণত তিন থেকে সাড়ে তিন বছর বয়স পর্যন্ত এই পদ্ধতি সবচেয়ে কার্যকর।
পনসেটি পদ্ধতির অধীনে, অভিজ্ঞ চিকিৎসকের মাধ্যমে শিশুর পা ধীরে ধীরে সঠিক অবস্থানে আনা হয় এবং প্লাস্টার করা হয়। প্রয়োজনে এই পদ্ধতির সাথে অস্ত্রোপচারেরও প্রয়োজন হতে পারে। অস্ত্রোপচারের পর, নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত প্লাস্টার করে রাখা হয় এবং দীর্ঘমেয়াদী ফলাফলের জন্য বিশেষ ধরনের জুতা বা ডিভাইস ব্যবহার করতে হয়। পাশাপাশি, রোগীকে ফিজিওথেরাপি সেশনের মাধ্যমে কিছু বিশেষ ব্যায়াম করাতে হয়, যা পুনর্বাসন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে।
**মো. সাইদুর রহমান**, চিফ কনসালট্যান্ট, উত্তরা মডার্ন ফিজিওথেরাপি সেন্টার, সেক্টর ১২, উত্তরা, ঢাকা।