ভাইবোনের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বা ‘সিবলিং রাইভ্যালরি’, একটি স্বাভাবিক ঘটনা যা প্রায় প্রতিটি পরিবারে দেখা যায়। বিশেষ করে ছোটবেলায় বাচ্চাদের মধ্যে এ ধরনের প্রতিযোগিতা খুবই সাধারণ। এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা বিভিন্ন কারণে সৃষ্টি হয়, যেমন বয়সের পার্থক্য, খেলনা বা মা–বাবার দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য। কখনো কখনো এটি একজনের অন্যজনের চেয়ে ভালো হওয়ার চেষ্টা থেকে উদ্ভূত হয়। এটি একটি জটিল মনস্তাত্ত্বিক বিষয়।
মা–বাবা হিসেবে এই পরিস্থিতি মোকাবেলা করা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রাকৃতিক চরিত্র বুঝে, তাদের মধ্যে সম্পর্কের খাতিরে সম্মান ও সহযোগিতা করতে হবে। স্বাস্থ্যকর পারিবারিক পরিবেশ এ ক্ষেত্রে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এছাড়াও, সাধারণত কাছাকাছি বয়সের শিশুদের মধ্যে তুলনা করার প্রবণতা থেকে এই প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি হয়। বয়সের ব্যবধান বেশি হলেও প্রতিযোগিতার লক্ষণ দেখা যেতে পারে।
### ঈর্ষার মূল কারণগুলো:
1. **মনোযোগ আকর্ষণ**: মা-বাবার দৃষ্টি ও ভালোবাসা পেতে প্রতিযোগিতা।
2. **আত্মমূল্যবোধ**: নিজের আত্মমূল্যবোধ নিয়ে সন্দেহ এবং অন্যদের সঙ্গে তুলনা।
3. **অকাঙ্ক্ষা**: নিজেকে প্রমাণ করার চেষ্টায় ঈর্ষা সৃষ্টি।
4. **পক্ষপাত**: অজান্তে এক ভাই বা বোনের প্রতি পক্ষপাতিত্ব।
বড় হওয়ার পরেও ভাইবোনদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থাকতে পারে। এতে ব্যক্তিগত সাফল্য, মানসিক স্বাস্থ্য, তুলনা, এবং সম্পত্তির ভাগাভাগি প্রভাব ফেলে।
### মা–বাবার জন্য পরামর্শ:
– সন্তানদের মধ্যে সমান মনোযোগ দিন।
– তাদের পার্থক্য মেনে নিন এবং সম্মান করুন।
– একে অপরকে সহায়তা করতে উৎসাহিত করুন।
– ঝগড়া হলে ধৈর্য ধরে পরিস্থিতি সামাল দিন এবং নিরপেক্ষভাবে সমাধান করুন।
এভাবে, মা–বাবার সঠিক দিকনির্দেশনা ও মনোযোগে ভাইবোনদের মধ্যে একটি সুস্থ সম্পর্ক গড়ে তোলা সম্ভব। তবে সম্পর্কের অবনতি বা অস্বাভাবিক আচরণকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা উচিত এবং প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের সহায়তা নেওয়া প্রয়োজন।