অধিনায়কত্ব নিয়ে নাজমুল হোসেনের সঙ্গে কথা বলবেন বিসিবি সভাপতি ফারুক আহমেদ। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের মিডিয়া প্লাজায় আম্পায়ার কোয়ালিফাইং কোর্সে পাস করা উত্তীর্ণ প্রার্থীদের সনদ বিতরণ অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
আজ মিরপুর স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে বোর্ড সভা শেষে ফারুক আহমেদের চট্টগ্রামে যাওয়ার কথা। সেখানে অধিনায়ক, কোচসহ দলের অন্যান্য ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
নাজমুলের অধিনায়কত্ব ছাড়ার ইচ্ছার ব্যাপারে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি জানি না, আপনাদের সঙ্গে নাজমুল কথা বলেছে কি না…অনেক সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের খবর তাদের এফেক্ট করতে পারে। খেলোয়াড়দের আসলে আরও সচেতন হওয়া দরকার।’
তবে নাজমুলের অধিনায়কত্ব ছাড়তে চাওয়ার বিষয়টি সংবাদমাধ্যমে আসায় তা ভালোভাবে নেননি ফারুক আহমেদ, ‘তারা আসলে যেটাই ফিল করুক সেটা নিয়ে… বাইরে না কথা বলে আমার মনে হয় অপারেশনস, সিইও, প্রেসিডেন্ট… বেশ কিছু পদক্ষেপ আছে, যা করা যেতে পারে। আমি আশা করি, খেলোয়াড়েরা এ ব্যাপারে সচেতন হবে। আর যদি কোনো খেলোয়াড় মনে করেন সে কন্টিনিউ করতে পারছেন না, তাহলে সেটা ব্যক্তিগত ব্যাপার। যদি এমন কোনো রিকোয়েস্ট আসে… আমরা তাহলে আলোচনা করব।’
পরে তিনি এ কথাও বলেন, ‘সবচেয়ে ইজি অপশন হচ্ছে, কেউ যদি বলে, আমি করতে চাই না, থ্যাংক ইউ, চলে গেলাম। সবচেয়ে ইজি অপশন। বাট ইফ ইউ রিয়েলি ডিগ ডাউন, কেন করতে চাচ্ছে না, এর পেছনে আর কোনো কারণ আছে কি না, সেগুলো নিয়ে আলাপ করা জরুরি। আলাপ করব। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে বিপিএলের দল করা, আরও অনেক ইস্যু, যেগুলো আমাদের হ্যান্ডেল করতে হয়েছে। প্লেয়ারদের সঙ্গে এক দিন মাত্র বসার সুযোগ হয়েছে, সেখানেও ৮-১০ জন এসেছিল, বিপিএল নিয়ে কথা বলেছি। চট্টগ্রামে যাব আজ রাতে। দল, কোচ—সবার সঙ্গে বসার চেষ্টা করব। তখন একটা কিছু আউটকাম আসবে।’
পরে অন্য এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরও পরিষ্কার করে বলেন, ‘আমি তো ওদের সঙ্গে না বসলে বুঝতে পারব না। পত্রিকা পড়ে তো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। যদি তার সঙ্গে বসি, তার যদি কোনো সমস্যা থাকে, সে যদি কন্টিনিউ করতে না চায়…এগুলো নিয়ে না বসলে বলতে পারব না। এই মুহূর্তে ওইভাবে তার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি।’