হাইকোর্ট কোটামুক্তভাবে ৩৮তম বিসিএসের ফল পুনর্মূল্যায়ন ও প্রকাশের জন্য একটি রুল জারি করেছে। মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) বিচারপতি মো. আকরাম হোসাইন চৌধুরী ও বিচারপতি কেএম রাশেদুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রুলে প্রশ্ন করা হয়েছে কেন ৩৮তম বিসিএসের ক্যাডার ও নন-ক্যাডার চূড়ান্ত ফল কোটামুক্ত এবং মেধার ভিত্তিতে পুনর্মূল্যায়ন করে প্রকাশ করা হবে না।
এর আগে ৩৮তম বিসিএসের কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করায় বৈষম্যের শিকার পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ১২০ জন বাদী হয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার সালাহউদ্দিন দোলন। তিনি জানান, ২০১৭ সালের ২০ জুন ৩৮তম বিসিএস এবং ২০১৮ সালের ৪০তম বিসিএসের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। পরে ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষিতে সরকার প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল করে।
আইনজীবী দোলন আরও জানান, ৩৮তম বিসিএসের সার্কুলার কোটা বাতিলের আগে জারি হলেও ৪০তম বিসিএসে কোটা প্রয়োগ না করে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ৩৮তম বিসিএসে কোটা প্রথা প্রয়োগ করায় রিটকারীরা অসন্তুষ্ট হয়ে রিটটি দায়ের করেন।
তিনি বলেন, পিএসসি সবসময় চূড়ান্ত ফলের সময় বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করে, যেমন ৩১তম বিসিএসে প্রতিবন্ধী কোটা কার্যকর করা হয়। ২০২৪ সালের ২৩ জুলাই পিএসসি নতুন কোটা ব্যবস্থা অনুযায়ী নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।