পেট ফেঁপে যাওয়া, প্রচুর গ্যাস সৃষ্টি হওয়া, হাত-পা ও মুখে ফোলাভাব, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া এবং তীব্র ক্ষুধা কমে যাওয়া—এই সবই হার্ট ব্লকের উপসর্গ। প্রাথমিক পর্যায়ে এই উপসর্গগুলো ব্যক্তির মধ্যে ভিন্নভাবে প্রকাশ পায়, তবে চূড়ান্ত পর্যায়ে এগুলো প্রায় একই ধরনের হয়ে যায়, যাকে হার্ট ফেইলিউর বলা হয়।
**প্রাথমিক পর্যায়**: রোগী সাধারণত তার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড স্বাভাবিকভাবে করতে পারেন। কিন্তু যদি ভারী কাজ করেন, তাড়াহুড়ো করেন, পেট ভরে খান অথবা অতিরিক্ত টেনশন অনুভব করেন, তখন শরীরে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। এর মধ্যে বুকে চাপ অনুভূতি, বুকের জ্বালা বা ব্যথা অন্তর্ভুক্ত। অনেকেই এই অনুভূতিগুলোকে অ্যাসিড, গ্যাস, বা ঝাল খাবারের ফল বলে মনে করেন এবং গ্যাসের ওষুধ গ্রহণ করেন। এটি সাধারণত সাময়িক হয়ে থাকে এবং দ্রুত নিবারিত হয়। উপসর্গগুলোর সৃষ্টি হতে পারে কায়িক শ্রম, সিঁড়ি ওঠা, আবহাওয়ার পরিবর্তন, বা দুঃসংবাদের কারণে।
**মাধ্যমিক পর্যায়**: উপসর্গগুলোর তীব্রতা বৃদ্ধি পায়, এবং রোগী ঘন ঘন আক্রান্ত হন। এ সময় শরীরের শক্তি কমে যায়, কাজের উদ্দীপনা হারিয়ে যায় এবং অনেকের মধ্যে ভীতির সঞ্চার হতে পারে।
**চূড়ান্ত পর্যায়**: এই পর্যায়টিকে হার্ট ফেইলিউর বলা হয়, যেখানে হার্ট শরীরের চাহিদা অনুযায়ী যথেষ্ট রক্ত সরবরাহ করতে পারছে না। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে রক্ত ও অক্সিজেনের অভাব ঘটে। এ অবস্থায় রোগী বিছানায় শোয়ালে শ্বাসকষ্ট ও শুকনো কাশির সমস্যায় ভোগেন। ঘুম থেকে ওঠার পর আবার স্বাভাবিক হতে পারেন। পাশাপাশি পেট ফেঁপে যাওয়া, গ্যাস, ফোলাভাব, প্রস্রাবের কম পরিমাণ, এবং অল্প খেলেই ভরা ভাব অনুভূত হওয়া প্রভৃতি উপসর্গ দেখা দেয়।
লেখক: চিফ কনসালটেন্ট, শমশের হার্ট কেয়ার, শ্যামলী, ঢাকা।