জুতা মানানসই হওয়া উচিত, তবে কেবল মানানসই হলেই হবে না—নিয়মিত যত্নও নিতে হবে। টিম কুপার, যিনি ব্রিটিশ প্রতিষ্ঠানের অলিভার সুইনির প্রধান কারিগর, এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ কথা বলেছেন: “আপনি যদি জুতার যত্ন নেন, জুতা আপনার যত্ন নেবে।”জুতার যত্ন নিতে তিনি কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন। চলুন, সেগুলো জেনে নিই:
1. **নতুন জুতা প্রথমে বাসায় পরুন**: নতুন জুতা কিনে আনার পর বাইরে না গিয়ে প্রথমে বাসায় কয়েক ঘণ্টা পরিধান করুন। এতে নতুন জুতার আঁটোসাঁটো ভাব কেটে যাবে এবং আরামদায়ক হবে। মনে রাখবেন, কিছু জুতা পায়ের সঙ্গে মানিয়ে নিতে বেশি সময় নিতে পারে।
2. **নতুন জুতা শুষ্ক দিনে পরুন**: নতুন জুতার সোলে ‘গ্রিট’ থাকে, যা আর্দ্র আবহাওয়ার বিরুদ্ধে প্রতিরক্ষা তৈরি করে। তবে শুরুতেই আর্দ্র আবহাওয়ায় নতুন জুতা পরলে তা নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নতুন জুতা শুষ্ক দিনে অমসৃণ মেঝে বা বাইরের রাস্তায় পরার চেষ্টা করুন।
3. **প্রতিদিন একই জুতা পরবেন না**: জুতারও বিশ্রামের প্রয়োজন। তাই এক জোড়া জুতা এক দিন পর পর পরিধান করা উচিত। এতে জুতার আর্দ্রতা দূর হবে এবং সেগুলো পরার জন্য আরও স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠবে। প্রতিদিন পরা একই জুতার তুলনায় বিশ্রাম পাওয়া জুতা চারগুণ বেশি টেকসই হয়।
4. **ভালো কাঠের শু ট্রি ব্যবহার করুন**: শু ট্রি হল পায়ের আকৃতিতে তৈরি একটি উপকরণ, যা জুতা পরার পর ব্যবহার করা উচিত। এটি জুতার আকৃতি ঠিক রাখে এবং ভাঁজ পড়া থেকে রক্ষা করে। অবশ্যই ভালো মানের কাঠের শু ট্রি ব্যবহার করুন, যাতে এটি জুতার ঘাম শোষণ করে এবং সঠিক আকৃতি ধরে রাখতে সাহায্য করে।
5. **অতিরিক্ত আর্দ্র দিনে চামড়ার জুতা পরবেন না**: চামড়ার জুতায় ছিদ্র থাকে, যা অতিরিক্ত আর্দ্রতায় খারাপ হয়ে যায়। এ ধরনের আবহাওয়ায় রাবারের সোলে তৈরি জুতা ব্যবহার করা উচিত। তবে যদি চামড়ার জুতা ভিজে যায়, তাহলে ঘরে ফিরে সংবাদপত্র দিয়ে মুড়িয়ে রাখুন এবং ঘরের তাপমাত্রায় শুকাতে দিন—সরাসরি তাপ দেওয়া উচিত নয়।
6. **নিয়মিত পালিশ করুন**: নিয়মিত যত্ন নিলে জুতা দীর্ঘস্থায়ী হবে। তাই ভালো মানের ক্রিম ও ব্রাশ দিয়ে নিয়মিত পালিশ করুন—এটি আপনি নিজে করতে পারেন অথবা চর্মকারের কাছে নিয়ে যেতে পারেন।
এভাবে জুতার যত্ন নিলে সেগুলো অনেক দিন ভালো থাকবে।