শিক্ষা অধিকার সংসদের আয়োজনে ‘ক্যাম্পাসে নির্যাতিত ছাত্রীদের জবানবন্দি ও বৈষম্যহীন শিক্ষাঙ্গণ গড়ার দায়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার অভিযোগ উঠেছে।২৬ অক্টোবর (শনিবার) সকাল ৯ টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরসি মজুমদার মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে, সকাল ৯টায় সভা শুরু হতে না হতেই মিলনায়তনের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। প্রাথমিকভাবে এটি বিদ্যুৎ বিভ্রাট হিসেবে মনে হলেও পরে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বিদ্যুৎ লাইন মেরামতের জন্য সংযোগ বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে এবং বিকাল ৪টার আগে বিদ্যুৎ আসবে না। এই পরিস্থিতিতে সভায় উপস্থিত সাংবাদিক, শিক্ষার্থী এবং বক্তারা বিব্রতকর অবস্থার সম্মুখীন হন।
এসময় ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও আয়োজকরা বিদ্যুৎ সংযোগ পুনঃস্থাপনের জন্য মেরামতের কাজে নিয়োজিত কর্মীদের চাপ দিতে থাকেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অফিসে এই বিষয়টি অবহিত করা হলেও কেউ এর সঠিক কারণ ব্যাখ্যা করতে পারেননি।
ঢাবি রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আমিন আসাদ বলেন, “আমরা এখানে এসেছি নারী শিক্ষার্থীদের নির্যাতনের ঘটনা শুনতে, কিন্তু দেখছি শুধু এই ভবন এবং আশেপাশের কয়েকটি ভবনেই বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এটি মোটেও স্বাভাবিক নয়। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী সরকারের সুবিধাভোগীরা রয়েছেন, যারা হয়তো চান না এমন কোনো সভা হোক। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।”
শিক্ষা অধিকার সংসদের সদস্য সচিব ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক মো শাহনেওয়াজ খান চন্দন জানান, প্রায় দেড় ঘণ্টা পর কলা অনুষদের ডিন মহোদয়ের হস্তক্ষেপে তারা বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হন এবং সভা শুরু করতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা জানি না কেন এমনটি হয়েছে, তবে এ ধরনের সমন্বয়হীনতার কারণে সভায় আগত সবাইকে কষ্টকর ও বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়েছে।”
এ বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. সিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, “আমি দ্রুত বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে বলেছি এবং কেন এমনটি হয়েছে তা সরেজমিনে দেখতে যাচ্ছি।”