চিরুনি সাজগোজের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। নারীর চুলের সৌন্দর্য ও বিন্যাসে এর ভূমিকা অপরিসীম। প্রতিদিন ব্যবহৃত এ পণ্যটি অবশ্যই হতে হবে চুলবান্ধব, নইলে তা প্রিয় চুলের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের চিরুনি পাওয়া যায়, তবে কেনার আগে চুলের ধরন ও ব্যবহারের উপযোগী চিরুনি সম্পর্কে ধারণা থাকা জরুরি। অনেকেই জানেন না যে চিরুনির ব্রাশের আকার ও দাঁতের ভিন্নতা আছে। সঠিক চিরুনি বাছাই করলে যেমন চুল পরিপাটি রাখা যায়, তেমনি চুলের আগা ফাটা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
**বড় দাঁতের চিরুনি:**
ভেজা চুল আঁচড়ানো ঠিক নয়, তবুও প্রয়োজন পড়লে বড় ও ফাঁকা দাঁতের চিরুনি আদর্শ। এতে চুল পড়ার আশঙ্কা কম থাকে এবং সহজে জট ছাড়ানো যায়।
**প্যাডল ব্রাশ:**
এটি আয়তাকার হেডযুক্ত, যা মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালনে সহায়তা করে এবং মাঝারি থেকে লম্বা চুলের জন্য উপযুক্ত।
**র্যাটেইল চিরুনি:**
লম্বা হাতলযুক্ত এই চিরুনি চুলে সিঁথি কাটতে সাহায্য করে। এটি দিয়ে চুল ফোলানো, পেঁচানো এবং বিভিন্ন ধরনের খোঁপা তৈরি করা যায়।
**সিনথেটিক ব্রিসল ব্রাশ:**
যাদের মাথায় ঘন চুল, তাদের জন্য এ ব্রাশ উপযুক্ত। এটি নাইলন দিয়ে তৈরি হয়।
**কুইল ব্রাশ:**
ডিম্বাকৃতি বা গোলাকৃতির এই ব্রাশ মাথার ত্বক ম্যাসাজ করে এবং চুলের প্রাকৃতিক তেল মাথায় ছড়িয়ে দিতে সহায়তা করে।
**ভেন্টেড ব্রাশ:**
ভেজা চুল শুকানোর সময় ব্যবহৃত হয়। এই ব্রাশ চুল ছিঁড়ে যাওয়া বা ভেঙে যাওয়ার ঝুঁকি কমায়।
**গোলাকার ব্রাশ:**
চুলে ভলিউম আনা এবং হালকা কোঁকড়ানো ভাব তৈরি করতে গোলাকার ব্রাশ কার্যকর।
**টিজিং ব্রাশ:**
মাথার ওপরের অংশে কিছুটা চুল ফুলিয়ে বাঁধার জন্য টিজিং ব্রাশ ব্যবহার করা হয়। নরম ব্রিসলসের এই ব্রাশ চুলের ক্ষতি ছাড়াই স্টাইল করতে সহায়তা করে।
**পিন ব্রাশ:**
ধাতব পিনযুক্ত ডিম্বাকৃতির এই চিরুনি ঘন ও কোঁকড়ানো চুলের জন্য সেরা। ধাতব পিনগুলো চুলের গভীরে প্রবেশ করতে পারে, যা চুলের জট ছাড়াতে সহায়ক।
**পরামর্শক:**
শারমিন সেলিম তুলি
রূপবিশেষজ্ঞ, বিয়ার বিজবিডি